ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের বাজারে ১৫ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩ ঘণ্টায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • ১২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লিচুর মৌসুমে কিশোরগঞ্জের পুলেরঘাট বাজারের চেহারা বদলে যায়। জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পুরোনো এ বাজারে লিচু ব্যবসায়ীরা আসেন সারা দেশ থেকে।

এ বাজারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ রসে টস টসে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু। এ বাজার থেকে লিচু কিনে ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান। মৌসুমি এ ফলটি হয়ে ওঠে পুরো এলাকার বাণিজ্যের প্রাণ।

এ বাজারের সবচেয়ে ভালো লিচু আসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িয়া থেকে। আর মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর কদর রয়েছে সারা দেশে। জেলায় কম বেশি লিচু হলেও সবচেয়ে বেশি লিচুর বাগান রয়েছে মঙ্গলবাড়িয়ায়।

পুলেরঘাট বাজার কমিটির সদস্য নাজমুল ইসলাম জুয়েল বলেন, পুলেরঘাট বাজার বসে ভোর ৪টায়। সকাল ৭টার আগেই বিকিকিনি শেষ। প্রতিদিন এই বাজারে কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়।

তিনি আরও বলেন, লিচুর পুরো মৌসুমে এ বাজারে কয়েক কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়। এবার করোনা না থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বাজারে আসছে। লিচুর ফলনও বাম্পার হয়েছে। এ বাজারের খুচরা বিক্রেতারা ভোররাতে এসে ভিড় জমায়। কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় এ লিচুর বাজার।

পুলেরঘাট বাজারের বড় ব্যবসায়ী মমিন মিয়া বলেন, এ বাজার থেকে লিচু সারা দেশে যায়। আমি নিজেই এ বাজার থেকে লিচু কিনে সিলেট, চট্টগ্রামসহ অনেক স্থানে পাঠায়। আমি প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার লিচু কিনে থাকি। এ বছর লিচুর দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

পাইকারী ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতিবছর তিনি এ মৌসুমি লিচু ব্যবসা করেন। এবারও তিনি ব্যবসা করছেন। তিনি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ অনেক এলাকায় লিচু নিয়ে ব্যবসা করেন। স্থানীয় বেপারীদের কাছ থেকে তিনি লিচু কিনে থাকেন।

হাওর থেকে লিচু কিনতে আসা বেপারী আল আমিন বলেন, হাওরে লিচু গাছ না থাকায় লিচুর অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই তিনিসহ কয়েকজন মিলে প্রতি বছর এ পুলেরঘাট বাজার থেকে লিচু কিনে হাওরে নিয়ে ব্যবসা করেন।

স্থানীয় বাগান থেকে লিচু কিনে বাজারে বিক্রি করতে আসা আব্দুল বারিক জানান, তিনি মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু বাগান থেকে লিচু কিনে এনে পুলেরঘাট বাজারে বিক্রি করেন।

স্থানীয় ছোট বেপারী জালাল উদ্দীন বলেন, এ বছর শুরু থেকেই নিয়মিত বাজারে লিচু নিয়ে আসছি। দাম ভালোই পাচ্ছি। আশা করছি এবার ভালো লাভ হবে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়ায় প্রায় ২০০ বাগানে লিচু চাষ করা হয়েছে। এখানকার লিচুবাগানের কিছু লিচু এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারে উঠলেও মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে পুলেরঘাট বাজারে লিচু বিক্রি শুরু হয়ে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিশোরগঞ্জের বাজারে ১৫ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩ ঘণ্টায়

আপডেট টাইম : ০৭:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লিচুর মৌসুমে কিশোরগঞ্জের পুলেরঘাট বাজারের চেহারা বদলে যায়। জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পুরোনো এ বাজারে লিচু ব্যবসায়ীরা আসেন সারা দেশ থেকে।

এ বাজারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ রসে টস টসে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু। এ বাজার থেকে লিচু কিনে ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান। মৌসুমি এ ফলটি হয়ে ওঠে পুরো এলাকার বাণিজ্যের প্রাণ।

এ বাজারের সবচেয়ে ভালো লিচু আসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িয়া থেকে। আর মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর কদর রয়েছে সারা দেশে। জেলায় কম বেশি লিচু হলেও সবচেয়ে বেশি লিচুর বাগান রয়েছে মঙ্গলবাড়িয়ায়।

পুলেরঘাট বাজার কমিটির সদস্য নাজমুল ইসলাম জুয়েল বলেন, পুলেরঘাট বাজার বসে ভোর ৪টায়। সকাল ৭টার আগেই বিকিকিনি শেষ। প্রতিদিন এই বাজারে কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়।

তিনি আরও বলেন, লিচুর পুরো মৌসুমে এ বাজারে কয়েক কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়। এবার করোনা না থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বাজারে আসছে। লিচুর ফলনও বাম্পার হয়েছে। এ বাজারের খুচরা বিক্রেতারা ভোররাতে এসে ভিড় জমায়। কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় এ লিচুর বাজার।

পুলেরঘাট বাজারের বড় ব্যবসায়ী মমিন মিয়া বলেন, এ বাজার থেকে লিচু সারা দেশে যায়। আমি নিজেই এ বাজার থেকে লিচু কিনে সিলেট, চট্টগ্রামসহ অনেক স্থানে পাঠায়। আমি প্রতিদিন প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার লিচু কিনে থাকি। এ বছর লিচুর দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

পাইকারী ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতিবছর তিনি এ মৌসুমি লিচু ব্যবসা করেন। এবারও তিনি ব্যবসা করছেন। তিনি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ অনেক এলাকায় লিচু নিয়ে ব্যবসা করেন। স্থানীয় বেপারীদের কাছ থেকে তিনি লিচু কিনে থাকেন।

হাওর থেকে লিচু কিনতে আসা বেপারী আল আমিন বলেন, হাওরে লিচু গাছ না থাকায় লিচুর অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই তিনিসহ কয়েকজন মিলে প্রতি বছর এ পুলেরঘাট বাজার থেকে লিচু কিনে হাওরে নিয়ে ব্যবসা করেন।

স্থানীয় বাগান থেকে লিচু কিনে বাজারে বিক্রি করতে আসা আব্দুল বারিক জানান, তিনি মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু বাগান থেকে লিচু কিনে এনে পুলেরঘাট বাজারে বিক্রি করেন।

স্থানীয় ছোট বেপারী জালাল উদ্দীন বলেন, এ বছর শুরু থেকেই নিয়মিত বাজারে লিচু নিয়ে আসছি। দাম ভালোই পাচ্ছি। আশা করছি এবার ভালো লাভ হবে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়ায় প্রায় ২০০ বাগানে লিচু চাষ করা হয়েছে। এখানকার লিচুবাগানের কিছু লিচু এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারে উঠলেও মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে পুলেরঘাট বাজারে লিচু বিক্রি শুরু হয়ে যায়।